পাহাড় নিয়ে কুণালের দশ প্রশ্ন

(‌ পাহাড়ে অশান্তির দায় কার?‌ মুখ্যমন্ত্রী দায় চাপিয়েছেন মোর্চার ওপর। চ্যানেলের বুদ্ধিজীবীরাও সেই সুরেই কথা বলছেন। কিন্তু দশটি অস্বস্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সাংসদ কুণাল ঘোষ। দেখে নেওয়া যাক তাঁর প্রশ্নগুলি। তুলে ধরা হল বেঙ্গল টাইমসে। আপনিও মতামত জানাতে পারেন। )‌

kunal
পাহাড় তপ্ত, রক্তাক্ত। সমতলের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী গুরুংয়ের মোর্চা অতি খারাপ কাজ করছে এবং মমতা বন্দোপাধ্যায় অতি ভালো কথা বলছেন, ভালো কাজ করছেন।
এটাও শুনলাম, পুলিশ সূত্রে খবর ছড়ানো হচ্ছে গুরুংয়ের জঙ্গিযোগ আছে। বিশ্বাস, অবিশ্বাস কোনটাই করছি না।প্রশ্ন :
1) বিমল গুরুং যখন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে একই কায়দায় পাহাড় গরম করেছিলেন, তখন কে সেই লড়াইকে সমর্থন করেছিলেন?
2) সিপিএম নেতাদের পাহাড়ে উঠতে দেয়নি মোর্চা। কিন্তু কাকে উঠতে দিয়েছিল?
3) গুরুংয়ের হাত ধরে পাহাড়ে উঠেছিলেন কে?
4) গুরুংয়ের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক, একমঞ্চে সভা করেছেন কে?
5) জিটিএ নামকরণে “জি” হিসেবে গোর্খাল্যান্ড শব্দটি রেখে চুক্তি সই করেছেন কে?
6) জিটিএ দখল করতে গুরুংকে পূর্ণ সাহায্য করেছেন কে?

gurung
7) মদন তামাং হত্যা থেকে দুর্নীতির অডিট, এখন হঠাৎ কথা তুললেও এতদিন নীরব ছিলেন কে?
8) এখন বলা হচ্ছে মোর্চা অস্ত্র জমিয়েছে, গোলমালের বড় চক্রান্ত করেছে। কী করে এটা হতে পারে? গোয়েন্দা বিভাগ, পুলিশ কার দায়িত্বে? পুলিশমন্ত্রী কী করছিলেন?পুলিশমন্ত্রী কে?
9)বলা হচ্ছে গুরুংয়ের জঙ্গিযোগ আছে। হঠাৎ জানা গেল নাকি? পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কে? সরকারি খরচে সদলে ঘনঘন পাহাড়ে যান কে? “আমি সব খবর রাখি” বলেন কে? পাহাড়ে প্রবল গতিবিধি এখন কাদের? ক’জন মন্ত্রীকে গত কবছর পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে? ক’জন পুলিশকর্তা গেছেন? এতদিন কেউ কিছু জানলেন না কেন? এখন জঙ্গিতকমা লাগিয়ে গুরুংকে স্থায়ী বিসর্জন দিয়ে সব দায় এড়াতে চাইছেন কে?
10) একসময় কথায় কথায় পুলিশের সর্বাত্মক বিরোধিতা করে এখন পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ভরসায় এলাকাদখল করতে চাইছেন কে?
গুরুং নির্দোষ, আমি একবারও বলছি না। কিন্তু, সমতলের মিডিয়ার নিয়ন্ত্রিত প্রচারকে ব্যবহার করে শাসকশক্তি যেভাবে যা যা করছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। প্রচুর পুলিশি অভিযান দিয়ে বিদেশযাত্রার আগে একজন পাহাড়কে শান্ত এবং বিরোধীশূন্য দেখিয়ে দেবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা কি সত্যিকারের শান্তি হবে? এক চূড়ান্ত “ইউজ অ্যান্ড থ্রো” নীতির মর্জিমাফিক প্রয়োগে একজনই যে পাহাড়ে অশান্তি ডেকে আনলেন, এই বাস্তব সত্যিটা কি আলোচনা হবে না??
(‌সাংসদ কুণাল ঘোষের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)‌

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.