দিব্যেন্দু দে
সত্যিই! দেশটার কী হল! এত বড় একটা দেশ। একশো তিরিশ কোটি জনসংখ্যা। অথচ, সেই দেশে একজন সর্বজনগ্রাহ্য রাষ্ট্রপতি পাওয়া যাচ্ছে না। এবার মনে হচ্ছে কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
কয়েক মাস ধরেই শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। হাওয়ায় ভেসে উঠল কত নাম। একে একে সেই নামগুলো হারিয়েও গেল। কখনও শোনা গেল লালকৃষ্ণ আদবানির নাম। কিন্তু বাবরি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কখনও মোহন ভাগবত, কখনও দ্রৌপদী মুর্মুর নাম শোনা গেল। তাঁদের আরএসএস চাইতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এঁদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
বিরোধীরাও দিশেহারা। দফায় দফায় বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন সোনিয়া গান্ধী। মমতা ব্যানার্জি শুধুমাত্র এই আলোচনা নিয়েই পরপর দু সপ্তাহে দুবার দিল্লি গেলেন। তার পরেও কোনও নাম বেরিয়ে এল না। অপেক্ষা, শাসকপক্ষ কার নাম সামনে আনে। নানা মহল থেকে দাবি উঠছে, প্রণববাবুকেই আবার রেখে দেওয়া হোক। তিনি যে ভোটে লড়তে আগ্রহী নন, বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে সর্বসম্মতি হলে হয়ত রাজি হতেও পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও বলছি, তাঁর বয়স হচ্ছে, এমন গুরুদায়িত্ব পালন করতে গেলে যতখানি সুস্থতা দরকার, তা তাঁর এইমুহূর্তে নেই। সময়ের নিয়মেই যত দিন যাবে, আরও অক্ষম হয়ে পড়বেন। একবার দায়িত্ব নেওয়া মানে কিন্তু সামনের পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নেওয়া। ততদিন প্রণববাবুর পক্ষে কর্মক্ষম থাকা সম্ভব হবে?
কার হাতে কোন তাস লুকোনো, তা এখনও সামনে আসেনি। তবে এতদিনের এত আলোচনার পরেও তেমন গ্রহণযোগ্য নাম কিন্তু উঠে আসছে না। বোঝা যাচ্ছে, যত বড়ই দেশ হোক, নেতৃত্বের ভয়ঙ্কর সঙ্কট। একজন সর্বজনগ্রাহ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? এবার কি রাষ্ট্রপতি চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে হবে?