তিস্তা ঘোষাল
আপনি থাকবেন খাঁচার ভেতর। আর বাঘ ঘুরে বেড়াবে জঙ্গলে। আপনি বাঘকে দেখবেন নাকি বাঘ মামা আপনাকে দেখবে? যে যাকেই দেখুন, সে হবে এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার।
চাইলে আপনিও যেতে পারেন এই বাঘ সাফারিতে। না, এর জন্য আফ্রিকায় যেতে হবে না। ভিন রাজ্যেও যেতে হবে না। উত্তরবঙ্গেই এই আমেজ পেতে পারেন। গরমের ছুটিতে অনেকেই যাচ্ছেন দার্জিলিং বা সিকিম। সেই তো শিলিগুড়ি হয়েই যাচ্ছেন। ফেরার ট্রেনও সেই এনজেপিতেই ধরছেন। তাহলে ফেরার সময় যদি একটু সাফারি হয়ে যায়, মন্দ কী?
শিলিগুড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরেই শালুগাড়া। সেখানেই গড়ে উঠেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। যার মূল আকর্ষণ অবশ্যই বাঘ মামা। একটি পুরুষ বাঘ, একটি স্ত্রী বাঘকে আপাতত আনা হয়েছে (স্ত্রী বাঘকে মামী বলবেন কিনা ভেবে দেখতে পারেন)। একজনের নাম স্নেহাশিস, অন্যজনের নাম শীলা। আপাতত তারাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সাফারি পার্কে।
সাফারি পার্কে আনা হয়েছে বিশেষ গাড়ি। আপনাকে বসতে হবে সেই গাড়ির ভেতরে। চাইলে ইচ্ছেমতো নামতে পারবেন না। কারণ ওঠার পরই দরজা বন্ধ। গাড়ির ভেতর থেকেই দেখতে হবে জঙ্গলকে। নিয়ে যাওয়া হবে বাঘের ডেরায়। সেখান থেকে হরিণের ডেরায়। তৈরি হচ্ছে ক্রোকোডাইল জোন। এমন নানা আকর্ষণ সাফারি পার্কে। আধঘণ্টা পর পর এই গাড়ি পেয়ে যাবেন। খুলে যাচ্ছে সকাল দশটায়।
দার্জিলিং ওঠার পথে হয়ত এই বাঘ দেখতে ভাল লাগবে না। তাছাড়া, গরমও পড়েছে। তবে এনজেপি স্টেশন থেকে নিজেরা যদি আলাদা গাড়ি ভাড়া করেন, তাহলে ড্রাইভারকে বলে যাওয়ার পথে বাঘ দর্শন করে যেতে পারেন। নইলে ফেরার পথেও দেখতে পারেন।