কেরল থেকে রাজ্যসভার আসন চাওয়া হোক

একসময় এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে বৃন্দা কারাতকে। ইয়েচুরিকে পাঠানো হয়েছে দুবার। এবার এই রাজ্যের কাউকে কেরল থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হোক। এখনই এই দাবি তুলুক আলিমুদ্দিন। লিখেছেন সরল বিশ্বাস।। 

এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় কে যাবেন?‌ এখনও নিশ্চিত উত্তর নেই বাম শিবিরের কাছে। কারণ, বামেদের যা সংখ্যা, তাতে নিজেদের জোরে কাউকে রাজ্যসভায় পাঠানোও যাবে না। তাকিয়ে থাকতে হবে কংগ্রেসের অনুগ্রহের দিকে। কংগ্রেস যদি নিজেদের আসন বামেদের ছেড়ে দেয়, তবেই বামেদের দিক থেকে কাউকে পাঠানো সম্ভব।

তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার রাজ্যসভায় বামেদের কেউই যাবেন না?‌ এবার যদিও কংগ্রেস কৃতজ্ঞতার কারণে ছেড়েও দেয়, সামনের বার ছাড়বে, এমন নিশ্চয়তা আছে?‌ বরং, সামনের বার এই সম্ভাবনা আরও কম। কারণ, জাতীয় রাজনীতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে কংগ্রেস–‌তৃণমূল আরও কাছাকাছি আসবে। ফলে, কংগ্রেসের বঙ্গজ নেতারা না চাইলেও বাম–‌কংগ্রেস দূরত্ব বাড়বে। তখন কংগ্রেসের পক্ষে এই উদারতা দেখানো আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

cpm

তাহলে উপায় কী?‌ আমার ক্ষুদ্র মাথায় একটা পরিকল্পনা এসেছে। বাম নেতৃত্ব ভেবে দেখতে পারেন। একসময় আমাদের রাজ্য থেকে আমরা বৃন্দা কারাতকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। সীতারাম ইয়েচুরিকে দুবার পাঠিয়েছি। আমাদের রাজ্যে কি যোগ্য নেতা ছিলেন না?‌ ছিলেন। তা সত্বেও আমরা উদারতা দেখিয়েছি। এখন আমাদের বিধায়ক সংখ্যা কম। তাই কেরলের কাছে রাজ্যসভা আসন চাওয়া হোক। এখন কেরলে বামেদের সরকার ফিরে এসেছে। রাজ্যসভায় পাঠাতে সমস্যা নেই। তাই দাবি তোলা হোক, এই বাংলার কোনও নেতাকে কেরল থেকে নির্বাচিত করা হোক। কেরলে সরকার আছে। লোকসভাতেও খুব একটা খারাপ ফল করেনি। অনেক বিধায়ক, মন্ত্রী আছে। মোদ্দা কথা, গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবারই পুনর্বাসন হয়ে গিয়েছে। তাহলে বাংলার জন্য একটা আসন ছাড়তে আপত্তি কোথায়?‌

বাংলা থেকে দাবি তোলা হল, আর কেরল একবাক্যে মেনে নিল, এমনটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবু দাবিটা জানাতে আপত্তি কোথায়?‌ এবার দাবি জানালে হয়ত পরেরবার শোনা হবে। এবার মানা হবে না জেনেই, দাবিটা না হয় এখন থেকেই তোলা হোক।।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.