ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
বেশির ভাগ পুলিশই ইনসোমনিয়াতে ভোগে। পুলিশ উর্দি খুলে, দু পেগ মেরে এবার শুতে যাবেন। স্ত্রী অনেক আগেই ছেলেকে নিয়ে পাশের ঘরে শুয়ে পড়েছে। রোজ যেরকম শোয় আরকি।
আজ বড্ড শান্তিতে ঘুমোবে পুলিশ। প্রান খুলে খিস্তিয়েছে, হাত খুলে মেরেছে।
সচরাচর সম্ভব হয় না। টেবিলের তলায় লুকোতে হয় বেশিরভাগ। ভেউ ভেউ করে ক্যামেরার সামনে কাঁদতে হয় থানা জ্বালিয়ে দিলে। বাকিটা সময় মেটিয়াবুরুজ এ মিউমিউ বা রাজপথ এ ফ্যালফ্যাল করে ত্রিশূল হাতে মিছিল দেখা।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। ওর ডি.এ নেই, রাষ্ট্রগত ছায়া থেকে বেরোনোর উপায় নেই, সেনার মত সম্মান নেই, আল্লা হু আকবর বা জয় শ্রী রামের আড়ালে লুম্পেনবাজি হলে লাঠি চালানোর মুরোদ নেই।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। সাংবাদিকও বোধহয় আংশিক। ফাটিয়ে লিখতে ইচ্ছে করলেও থেমে যেতে হবে। হাত নিশপিশ করলেও রিপোর্ট থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে প্রশ্ন থেকে বিরত থাকতে হবে, অনেক প্রশ্ন ঢোঁক গিলে নিতে হবে। সবার উপরে কি যেন কি সত্য সেলুকাস।
পুলিশ বড্ড অসহায়। ওর পাশে দাঁড়াও। ৩৬৪ দিন তোষামোদি, ডিসি সাহেবের বাচ্চাকে স্কুল ছেড়ে দেওয়া, দাপুটে নেত্রীর চাপকানোর হুমকি শোনা, হেলমেট না পরেও নির্দিষ্ট কিছু পাড়া দিয়ে বাইক জুলুস এ কিছু না বলতে পারার হতাশার মাঝে এক দিনের খুশি। প্রবল প্রভাবশালী সাংবাদিকদের মেরে হাত সুখ। সাউন্ড স্লিপ।
পুনশ্চ, মহারাষ্ট্রতে ভাই ও বীরপুরুষদের দাপাদাপিতে আক্রান্ত সাংবাদিকদের বাঁচাতে বিল আনা হয়েছে। কড়া সাজা হবে সাংবাদিক পেটালে। আর গোটা মুম্বাই এ হেলমেট ফেজ টুপির উপরে হলেও পড়তে হবে। হবেই তা সে যতই বড় দাড়ি হোক। যেমন মাল খেয়ে শিবাজী মহারাজ এর স্টিকার গাড়িতে থাকলেও ফাইন দিতে হবে। হবেই।
এই অসহায়তা আমাদের। বেকার ফুলিশদের দোষ দিয়ে কি লাভ!