নন্দ ঘোষের কড়চা
(চিরকাল সবাই নন্দ ঘোষের দোষ ধরে এসেছে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। এবার নন্দ ঘোষও লোকের দোষ খোঁজা শুরু করলেন। শুরু হল নতুন বিভাগ- নন্দ ঘোষের কড়চা। একেকদিন নন্দ ঘোষের শিকার একেকজন। আজ এক অতিপরিচিত সাংবাদিক। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন দিব্যেন্দু দে।।)
সন্ধে হলেই বাড়ির লোক টিভিতে সিরিয়াল কিম্বা রিয়ালিটি শো দেখে। আমি হাতে রিমোট পাই খুব কম সময়ের জন্য। আর পেলেই খবরের চ্যানেলগুলো উল্টে-পাল্টে দেখি।
কিন্তু এবিপি আনন্দ খুললেই সুমন দের মুখ পর্দায় ভেসে ওঠে। কী বিরক্ত যে লাগে ! আমি সঙ্গে সঙ্গে অন্য চ্যানেলে চলে যাই। খবর- আলোচনা- ইন্টারভিউ সবেতেই একজনের মুখ। চ্যানেলে অন্য কেউ নেই নাকি কে জানে!
অন্য চ্যানেলগুলোতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবিপি আনন্দ খুললেই সুমন দে। আচ্ছা, কেউ আপত্তি করে না? উনি নিজেও তো বলতে পারেন, সব সময় আমার মুখ দেখিও না। নাকি নিজেই নিজের মুখ দেখাতে উৎসাহ দেন। যদি দেন, তাহলে বলতে হবে, উনি আত্মসর্বস্বতা নামক রোগে ভুগছেন। এই বাংলায় আরও একজন আছেন যিনি এই রোগে আক্রান্ত। তিনি হাওয়াই চটি পরেন। সুমন তাঁর সঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়েছেন, এক থালায় মুড়ি খেয়েছেন। লোকে বলে, ভোটে টিকিট না পেয়ে এখন বিপ্লবী হয়েছেন।
এ বি পি আনন্দ অলিম্পিকে গেলে সুমন, চীনে গেলে সুমন, দুবাই গেলে সুমন। বিজ্ঞাপনের কণ্ঠে সুমন, এমনকি অ্যানিমেশনেও সুমন। তাহলে এবিপি আনন্দের লোগো পাল্টে সুমনের মুখ করে দিলেই হয়।
নেতাজি- গান্ধীজী- হেমন্ত- কিশোর- ভানু- জহর, সবার ইন্টারভিউ নিচ্ছে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। কোনদিন হয়তো আদম-ইভের ইন্টারভিউ নেবে।
আবার নিজের নামে অনুষ্ঠান চালু করেছে, ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন। শহরের নানা জায়গায় তার কত না হোর্ডিং। ভাবলাম, দারুণ কিছু হবে। দু একদিন দেখলামও। এখন আর দেখি না। প্রতিদিন এক ঘণ্টা ধরে বকবকানি। ওই ঘণ্টা আমি রিমোটটা বাড়ির লোকের হাতে ছেড়ে দিই। এমন টক-শো দেখার থেকে সিরিয়াল দেখা ভালো।
(যে কেউ নন্দ ঘোষ হয়ে উঠতে পারেন। আপনিও লিখে পাঠান আপনার ‘প্রিয়’ মানুষটির কথা। সব সমালোচনায় যুক্তি থাকতেই হবে, এমন কোনও শর্ত নেই। শব্দ সংখ্যা ২০০-২৫০। মতামতের জন্য bengaltimes.in দায়ী নয়। লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ bengaltimes.in@gmail.com)