মুখ স্থির করতে এত দ্বিধা কীসের?

সজল মিত্র
গত সপ্তাহে শান্তনু দামের লেখা পড়লাম। কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করছি। দ্বিমত পোষণ করে নয়, বরং তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে।
কোনও দ্বিধা না রেখেই স্বীকার করছি, আমি একজন বাম সমর্থক। আমিও চাই, ২০১৬ তে আবার বামেরাই ফিরে আসুক। কিন্তু এটাও জানি, কাজটা খুব সহজ নয়। তৃণমূল শুধু পেশীশক্তি ব্যবহার করে আর প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারিয়ে দেবে, এমনটা যারা বলছেন, আমি তার সঙ্গে একমত নই। গ্রামের দিকে তৃণমূলের একটা সমর্থনভিত্তি আছে, এটা স্বীকার করে নেওয়াই ভাল।

selim5

তাহলে বামেদের লড়াই করতে গেলে কী করতে হবে? আমি জ্ঞান দেব, সেই ধৃষ্ঠতা আমার নেই। তবে নিজের ভাবনা মেলে ধরতে পারি। আমি মনে করি, নির্বাচনে লড়তে গেলে অবশ্যই একটা মুখ দরকার। আমরা জিতলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা স্পষ্ট হওয়া দরকার। এবং এই মুখ হতে পারেন মহম্মদ সেলিম। এই মুহূতে আর কোনও বিকল্প মুখের কথা মনে পড়ছে না।
কেন সেলিম, তার স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দেওয়া যায়। ১) গোটা রাজ্যে পরিচিত মুখ। ২) বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ইংরাজিতে সাবলীল। ৩) দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন, রাজ্যে মন্ত্রীও ছিলেন। প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা আছে। ৪) গ্রাম বাংলাকে মোটামুটি চেনেন। ৫) যুবকদের সঙ্গে মিশতে পারেন, তাদের ভাষায় কথা বলতে পারেন। ৬) সংখ্যালঘু। ফলে, সংখ্যালঘুদের আস্থা কিছুটা ফিরে আসতে পারে ৭) সুবক্তা। ব্রিগেডে তাঁকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল। ৮) তৃণমূল যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই কথা বলতে জানেন।
আরও অনেক যুক্তি আছে। বুদ্ধবাবু কোনওভাবেই ভোটে লড়বেন না। সূ্র্যকান্ত মিশ্র রাজ্য সম্পাদক। আর দাঁড়াবেন বলে মনে হয় না। অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে দারুণ জয় এনে দিলেও গোটা বাংলার জন্য বিশ্বাসযোগ্য মুখ নন। তাহলে আর উপায় কী? বাম নেতারা নিশ্চয় ভাবছেন। এবার দ্বিধা ছেড়ে নামটা ঘোষণা করা হোক। সেলিমকে সামনে রেখেই লড়াই হোক।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.