বাংলা সাহিত্যের গুগল

বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদন:‌ সাহিত্য নিয়ে যাঁদের কোনও আগ্রহ নেই, কোনও লেখক সম্পর্কে যাঁদের কোনও আগ্রহ নেই, তাঁদের এই বই কোনও কাজে লাগবে না।

কিন্তু যাঁরা সাহিত্য ভালবাসেন, সাহিত্যিকদের ভালবাসেন, তাদের চিঠি লিখতে বা ফোনে কথা বলতে চান, কোনও নতুন বইয়ের হদিশ চান, তাঁদের সংগ্রহে এই বই অবশ্যই থাকা উচিত।

year book

নতুন কোনও বই নয়। সাহিত্যের ইয়ারবুক। বাংলা সাহিত্যপ্রেমী মানুষদের কাছে নামটা অজানা নয়। দেখতে দেখতে ষোল বছর হয়ে গেল। প্রতিবছর হাজির হয় নতুন আঙ্গিকে। সাহিত্যিক ও অধ্যাপক জাহিরুল হাসান প্রথম চালু করেন ২০০২ সালে। অনেক পরিশ্রম করে বিভিন্ন সাহিত্যিকদের ঠিকানা, ফোন নম্বর এসব জোগাড় করেন। বিভিন্ন প্রকশনা সংস্থা থেকে শুরু করে সাহিত্যের আঙিনায় নানা পুরস্কার ও অনুষ্ঠান। পরে যোগ হল ওয়েব ম্যাগাজিন, ইমেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আধুনিক করে তুলেছে এই ইয়ারবুক।

কত লেখকের ফোন নম্বর বদলে গেছে। ঠিকানা বদলে গেছে। অনেকে মারা গেছেন। অনেক নতুন লেখক উঠে এসেছেন। কত নতুন প্রকাশনা সংস্থা এগিয়ে আসছে। কত নতুন নতুন পত্রিকা, ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। কত পত্রিকা অকালেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতকিছুর সঙ্গে সারা বছর জড়িয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। অনেক নিষ্ঠার দরকার হয়। সারা বছর ধরেই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজটি করে চলেছেন জাহিরুল হাসান, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যরা। এবার সম্পাদনায় ছিলেন বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে এক কথায় মুশকিল আসান।

নাম হয়ে গেছে সাহিত্যের গুগল। কেউ কেউ বলেন সিধু জ্যাঠা। একটা বই, একসঙ্গে এতকিছুর সন্ধান দিতে পারে!‌ যাঁর আছে, তাঁর কাছে এটি অমূল্য সম্পদ। যাঁর নেই, তিনি জানেনও না, কতকিছু থেকে তিনি বঞ্চিত।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.