মৌতান ঘোষাল
বিতর্কের ঝড় পেরিয়ে আবার সুস্থ স্বাভাবিকভাবে কর্মজীবনে ফিরে আসার সিলভার লাইনটা বোধয় দেখতে পাচ্ছেন অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। হ্যাঁ, বছরখানেক আগে এই নামটাই উঠে এসেছিল সংবাদের শিরোনামে, মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে।
২৪ বছরের শ্বেতা আদালতকে জানিয়েছিলেন, তিনি বাধ্য হয়েছিলেন এমন কাজ করতে। পরে অবশ্য হায়দরাবাদ আদালত নির্দোষ ঘোষণা করে তাঁকে। আর তার প্রায় এক বছর পরে আবার পর্দায় ফিরছেন তিনি তাও আবার বাংলা ছবির হাত ধরে।
ছবির নাম “এক নদীর গল্প”। সুনীল গঙ্গোপাধ্যের ছোট গল্প “একটি নদীর গল্প” অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন সমীর চন্দ। শ্বেতা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্তর মতো তারকারা। ১১ বছর বয়সে “মকড়ি” ছবিতে আত্মপ্রকাশ শিশু শিল্পী হিসাবে। আর তখন থেকেই তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতেরর কথা সবার মুখে মুখে। এরপর “ইকবাল”এর মতো ছবি। আর তারপরই এমন কলঙ্কময় অধ্যায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতার জীবনে। এই ছবিতে অবশ্য শ্বেতা অভিনয় করেছিলেন এ’সব বিতর্কের অনেক আগে। তখন তাঁর বয়স ১৫, ক্লাস নাইনের ছাত্রী। প্রথমে বাবা-মা পড়ার ক্ষতি হবে বলে রাজি না হলেও বিশাল ভরদ্বাজ জোর করায় না করতে পারেন নি।
“মকড়ি”তে সমীর ছিলেন আর্ট ডিরেক্টর, বিশালের ঘনিষ্ট বন্ধু। আর মা বাঙালি হওয়ায় শ্বেতা’র বাংলা উচ্চারণ যথেষ্ট ভাল। আর তারপরই কাজ শুরু। কিন্তু ২০০৮ এ মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও মুক্তি পায়নি এই ছবি। মুক্তি পেতে ছলেছে এ’বছর আগষ্টে। তাই বোধয় বলে সব কিছুর সময় নির্দিষ্ট। কারণ, আজ এই বিতর্কের পর এমন একটা ছবি যে সত্যি খুব দরকার ছিল শ্বেতার জীবনে। না হলে রুপোলি পর্দায় নিজের অভিনয় দক্ষতা টিন্সেল টাউনকে মনে করাবার এমন সুযোগ পাওয়াটা যে খুব কঠিন হত আপাতত মুম্বইয়ের একটি প্রোডাকশন হাউসে সহকারী স্ক্রিপ্টরাইটারের কাজ করা শ্বেতার পক্ষে।