নন্দ ঘোষের কড়চা
যেমন বাংলার বিশেষজ্ঞ, তেমন বাংলার কাগজগুলো। এরা নিজেরা ভুলভাল বোঝে। আর সেই ভুলভাল বোঝা গুলোকে পাঠকের উপর চাপিয়ে দেয়।
আই এস এল ফাইনালের কথাই ধরা যাক। কোনও ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালেই হল। ব্যাস, যে জিতবে, তার গোলকিপারের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দাও। সে যদি বাঙালি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এবারো তেমনটাই হল।
কোনও সন্দেহ নেই, দেবজিৎ মজুমদার একজন ভাল গোলকিপার। অনেক নিশ্চিত গোল তিনি বাঁচিয়েছেন। পুরো আই এস এল জুড়েই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তখন মিডিয়া তেমন উচ্ছ্বাস দেখায়নি। বিশেষজ্ঞদেরও তেমন প্রশংসা করতে দেখা যায়নি। যেই না টাইব্রেকারে জয় এল, অমনি তাঁকে নায়ক বানানোর হিড়িক পড়ে গেল।
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। টাইব্রেকারে দেবজিতের ভূমিকাটা ঠিক কী ? তিনটি গোল হজম করলেন। তিনটি ক্ষেত্রেই একেবারে উল্টোদিকে ঝাপালেন। বলের কাছাকাছিও নেই। একটি শট উড়ে গেল অনেক উপর দিয়ে। আরেকটি শটে ঝাপালেন ডানদিকে। একেবারেই ভুলভাল অনুমান। ঘটনাচক্রে বলটি পায়ে লেগে আটকে গেল। এটাকে কেউ ভাগ্য বলতে পারেন। কেউ বলতে পারেন চান্স ফ্যাক্টর। মোদ্দা কথা, কৃতিত্ব বিশেষ নেই। যদি বলেন, ফাইনালে একশো কুড়ি মিনিট ধরে দেবজিৎ দুর্গ আগলেছেন, হ্যাঁ, সেটা অনেক বেশি কৃতিত্বের। কিন্তু টাইব্রেকারে তিনি এমন কিছু করেননি যার জন্য তাকে নায়ক বলা যায়।
এ অনেকটা ঝড়ে ডাল পড়ল, ফকিরের কেরামতি বাড়ল। কিন্তু পরের দিনের বাংলা কাগজগুলো দেখুন। আদিখ্যেতার শেষ নেই। বোঝা যাচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা এখনও বিশেষভাবে অজ্ঞই থেকে গেছেন।