বেঙ্গল টাইমস প্রতিবেদনঃ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল রাত পৌনে তিনটেয়। চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে মাঝরাতে আনা হল রানাঘাট থেকে দমদম বিমানবন্দরে। ভোরের বিমানে রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হল নির্যাতিতা সিস্টারকে।
রানাঘাটে ধর্ষিতা বর্ষীয়াণ সন্ন্যাসীনী গত সাত দিন ধরে ছিলেন রানাঘাট হাসপাতালে। গতকাল রাত একটা নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা রাতেই সিস্টারকে রিলিজ করাতে চান। রাত দুটো কুড়ি নাগাদ হাসপাতালে আসেন মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ প্রশাসক। রাত পৌনে তিনটেয় ছাড়া হল সিস্টারকে। স্কুলে নয়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল বিমানবন্দরের দিকে। সঙ্গে একজন চিকিৎসককেও গাড়িতে তোলা হয়। ভোরের বিমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিস্টারকে।
এত চূড়ান্ত গোপনীয়তা কেন, তা নিয়ে পুলিশ বা স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলছেন না। একটি অংশের দাবি, সিস্টার নিজেই রাজ্যের বাইরে চলে যেতে চেয়েছিলেন। আরেকটি সূত্রের দাবি, সিস্টারকে স্কুলে আনা হলে মিডিয়া পৌঁছে যেতে পারে। এমনকি সেই সমাজবিরোধীরাও হামলা করতে পারে। সিস্টার মুখ খুললে সরকারকে আরও বিড়ম্বনায় পড়তে হত। এসব ভেবে রাজ্য সরকার আর ঝুঁকি নেয়নি।