জোট সরকার কি ক্ষমতায় আসছে? এখনও পরিষ্কার নয়। যদি আসে, কেমন হতে পারে মন্ত্রীসভার চেহারা ? কংগ্রেসকে কতগুলি দপ্তর ছাড়া হতে পারে ? কে হতে পারেন উপমুখ্যমন্ত্রী? কার হাতে কোন দপ্তর থাকতে পারে ?
মন্ত্রীসভা গঠনের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। কংগ্রেসকে পর্যাপ্ত দপ্তর ছাড়তে হবে। শরিকদেরও সামিল করতে হবে। যাঁরা বিভিন্ন দপ্তরের উপযোগী হতে পারেন, তাঁরা সবাই যে জিতবেন, এমনও নয়। যাঁদের জেতার তেমন সম্ভাবনা নেই, তাঁদের মন্ত্রীসভায় আনা হয়নি। অনেক নতুন প্রার্থী। তাঁদের কার কেমন যোগ্যতা ও দক্ষতা, সে সম্পর্কেও সম্যক ধারণা নেই। তাই তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও অজ্ঞতার কারণে অনেককেই মন্ত্রীসভার বাইরে রাখতে হচ্ছে।
তবু বেঙ্গল টাইমসের পক্ষ থেকে জোট সরকারের বিকল্প মন্ত্রীসভা পেশ করা হল।।
১) মুখ্যমন্ত্রী – সূর্যকান্ত মিশ্র
(মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকবে পুলিশ দপ্তর। সেইসঙ্গে থাকবে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন। তাঁর কাজ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা।)
২) উপ মুখ্যমন্ত্রী- এক্ষেত্রে যোগ্যতম ডা. মানস ভুঁইয়া। কিন্তু মুশকিল হল, মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী দুজনেই একই জেলার। অধীরবাবু তাঁকে চাইবেন কিনা, সংশয় থেকেই যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, অধীর নিজে সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী। তবে প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে ও যোগ্যতার নিরিখে মানস ভুঁইয়াই এগিয়ে। তাঁর হাতে থাকতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর।
৩) পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন – অমিয় পাত্র
৪) শিল্প-বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ – সুজন চক্রবর্তী
৫) অর্থ ও আবগারি- ড. অসীম দাশগুপ্ত
৭) পুর ও নগরোন্নয়ন – অশোক ভট্টাচার্য
৮) উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ – সুখবিলাস বর্মা
৯) পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন- নেপাল মাহাতো
১০) পূর্ত ও সড়ক – তপন হোড় / বিশ্বনাথ চৌধুরি
১১) কৃষি ও কৃষি বিপণন – রামচন্দ্র ডোম
১২) তথ্য ও সংস্কৃতি – ড. অঞ্জন বেরা
১৩) পরিবহন, কর্মবিনিয়োগ, আবাসন – শমীক লাহিড়ি
১৪) আইন, বিচার ও ক্রেতাসুরক্ষা – অরুণাভ ঘোষ
১৫) ভূমি সংস্কার- আবু হেনা
১৬) স্কুল শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা – মহম্মদ সোহরাব
১৭) কলেজ শিক্ষা – শ্রুতিনাথ প্রহরাজ
১৮) কারীগরি শিক্ষা ও গ্রন্থাগার – শ্রীকুমার মুখার্জি / চিত্তরঞ্জন দাশঠাকুর
১৯) তথ্যপ্রযুক্তি, সোশাল মিডিয়া – দেবেশ দাশ
২০) জন অভিযোগ ও মানবাধিকার- অম্বিকেশ মহাপাত্র
১১) যুবকল্যাণ ও পর্যটন– আলি ইমরান (ভিক্টর)
২২) সেচ – সুভাষ নস্কর / কান্তি গাঙ্গুলি
২৩) ক্রীড়া ও সুন্দরবন উন্নয়ন – কান্তি গাঙ্গুলি
২৪) শ্রম – গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি / আইনুল হক
২৫) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প- এস এম সাদি / সাজাহান চৌধুরি
২৬) খাদ্য – অক্ষয় ঠাকুর
২৭) নারী ও শিশুকল্যাণ (আই সি ডি এস) – শম্পা দরিপা
২৮) স্বনির্ভর গোষ্ঠী – গার্গি চ্যাটার্জি
২৯) বন, পরিবেশ – তমসের আলি
৩০) প্রাণী সম্পদ বিকাশ ও মৎস্য – আনিসুর রহমান
৩১) পরিষদীয় – প্রবোধ সিনহা
৩২) ত্রান ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন- শঙ্কর সিং / শঙ্কর মালাকার
৩৩) জনস্বাস্থ্য কারীগরি – তন্ময় ভট্টাচার্য/ মানস মুখার্জি
৩৪) কারা, অসামরিক প্রতিরক্ষা, দমকল –সুনীল পারিয়াল
রাষ্ট্রমন্ত্রী
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ক্রেতাসুরক্ষা – মেহবুব আসিফ
স্বাস্থ্য- আবুল হাসনাত
তথ্য ও সংস্কৃতি, ক্রীড়া – শতরূপ ঘোষ
পুর ও নগরোন্নয়ন – মোহিত সেনগুপ্ত/ পি এন রায়
নারীকল্যাণ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন- মাফুজা খাতুন
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন – মেঘলাল শেখ / সুমিত বিশ্বাস
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ, বন – সুশান্ত বেসরা
পূর্ত – মনোজ ওরাঁও
খাদ্য ও সমবায় – মানিক মুখার্জি/ হরিপদ বিশ্বাস
হর্টিকালচার, স্বনির্ভর গোষ্ঠী – সাবিনা ইয়াসমিন / শাওনি সিংহরায়
স্পিকারঃ যোগ্যতম মানুষ হতে পারতেন জ্ঞান সিং সোহনপাল। কিন্তু বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণেই এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া গেল না। কংগ্রেসকেই স্পিকার পদ ছাড়া উচিত। সেক্ষেত্রে আব্দুল মান্নান উপযুক্ত স্পিকার হতে পারেন।
ডেপুটি স্পিকারঃ ডলি রায় / দীপক চ্যাটার্জি
প্রোটেম স্পিকার – জ্ঞান সিং সোহনপাল