উইক এন্ড ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে দিন দিন কদর বাড়ছে। আর তাই যোগাযোগ ব্যবস্থাও আরও উন্নত হচ্ছে। ধর্মতলা থেকে প্রচুর বাস। দূরত্ব ১৩০ কিমি। ট্রেনে গেলে নামখানায় নেমে নদী পেরিয়ে আবার বাস ধতে পারেন। খুব নির্জন নয়, আবার ভিড়ে ঠাসাঠাসিও নয়। সন্ধের দিকে সৈকত ধরে হেঁটে যেতে আপনার ভালই লাগবে। শীতকালে গেলে দেখবেন সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। দূরদূরান্ত থেকে পিকনিক করতে আসা লোকজন দেখতে পাবেন। সন্ধের পর সেই ভিড় কমে যায়। লম্বা সৈকত ধরে ইচ্ছেমতো হেঁটে আসুন। সমুদ্রের ধারেই টুকটাক খাবারের নানা দোকান পেয়ে যাবেন। একটু বাজারের দিকে গেলেও অনেক হোটেল। থাকার পক্ষে সবচেয়ে ভাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের আওতায় থাকা বকখালি ট্যুরিস্ট লজ। অনেক রুম আছে, শস্তার ডরমেটারিও আছে। বুকিংয়ের ঠিকানা ৩/২, বি বা দি বাগ (ইস্ট), কলকাতা ১। ফোন নম্বর — ২২২৫ ৪৭২৪, ৪৪০১ ২৬৫৯। সেটিই সমুদ্রের সবথেকে কাছে। এছাড়া অসংখ্য বেসরকারি হোটেল তৈরি হয়েছে। বুকিং না করে সরাসরিও চলে যেতে পারেন। তবে যে সময়টায় পর্যটকদের ভিড় থাকার কথা, সেই সময় যেতে হলে বুকিং করে যাওয়াই ভাল।
কাছেই ফ্রেজারগঞ্জ। বকখালি থেকে ভ্যান রিক্সা নিয়ে একবার ঢু মেরে আসতে পারেন। ফ্রেজার সাহেবের সেই বাংলো এখন সমুদ্রের গর্ভে তলিয়ে গেছে। তবু একবার ঘুরে আসুন। খাঁড়ির ভেতর অনেক নৌকা। মাঝিরা ফিরছে মাছ ধরে। কেই আবার পাড়ি দিচ্ছে মাঝসমুদ্রে। ওঁদের কাছে সমুদ্রের অনেক অজানা গল্প শুনে আসতে পারেন। ফ্রেজারগঞ্জে থাকতে চাইলে বেনফিসের গেস্ট হাউস আছে। তবে রাতে খুব একটা ভাল লাগবে না। মাছের গন্ধে বমিও আসতে পারে। তার চেয়ে ফ্রেজারগঞ্জে ঢু মেরে বকখালিতে রাত্রিবাসই ভাল।
