প্রাঞ্জল পাত্র
অনেকদিন পর আবার শচীন ও বিনোদ কাম্বলিকে একসঙ্গে দেখলাম। ছোট বেলার দুই বন্ধুর মাঝে উঠে গিয়েছিল ভুল বোঝাবুঝির একটা দেওয়াল। দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। যে কোনও কারণেই হোক, কাম্বলির কিছু আচরণ মেনে নিতে পারেননি শচীন। সেখান থেকেই দূরত্ব।
আবার ওঁরা এক ফ্রেমে। যে গুরুর আশ্রমে ওদের একসঙ্গে পথ চলা শুরু, আবার সেই গুরুর বাড়িতেই। রমাকান্ত আচরেকারের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন শচীন তেন্ডুলকার। পাশে দাঁড়িয়ে বিনোদ কাম্বলি। ছবিটা সত্যিই মনে রাখার মতো। শিক্ষক দিবসে দেশে থাকলেই স্যারের বাড়িতে যেতে ভোলেন না প্রিয় ছাত্র। যেখানে সুযোগ এসেছে, অকৃপণভাবে তুলে এনেছেন স্যারের কথা। প্রত্যেকেরই কেউ না কেউ গুরু থাকে? কজন ক্রিকেটার নিজের গুরুর কথা এভাবে বারবার তুলে আনেন? এটাই শিক্ষা, এটাই সৌজন্য। এই কারণেই আর দশজনের থেকে শচীন আলাদা।
মুম্বইয়ে ক্রিকেট আকাদেমি করছেন শচীন। সেই কারণেই গুরু আচরেকারের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে গেছেন। সেই আকাদেমির কোচ কাম্বলি। গুরুকেও শ্রদ্ধার্ঘ্য আবার পুরনো বন্ধুত্বকেও মর্যাদা দেওয়া। আচরেকারের বাড়িতে যাওয়ার সময় একগুচ্ছা সাংবাদিককে খবর দিয়ে বা টিভি ক্যামেরা নিয়ে যাননি। গুরুকে অযথা বিড়ম্বনায় ফেলেননি। ছবিটা ছাড়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই আপন নিয়মে ভাইরাল।
ছোট্ট একটা ছবি। হাজার শব্দের সমান। আরও একবার চিনিয়ে দিয়ে গেল শচীন তেন্ডুলকারকে।