এগিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছে উত্তরণ

পল্লব পান

ছোট্ট ছোট্ট পায়ে পথ চলা। এই পথ চলতে চলতেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া। এভাবেই এগিয়ে চলেছে উত্তরণ। শুধু নিজেদের এগিয়ে যাওয়া নয়, অন্যদেরও জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে এগিয়ে দেওয়া।
uttaran2

বছর তিন আগের কথা। বাঁকুড়া খ্রীষ্টান কলেজের একঝাঁক ছাত্র ঠিক করলেন, দুস্থ ও মেধাবী ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন। আর্থিক সাহায্য, মানসিক সাহায্য ও লড়াইয়ের পাশে থাকার সেই অঙ্গিকার নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সংস্থা। ২০১৪ নাগাদ সরকারি স্বীকৃতি পেল উত্তরণ। সারা বছর নানা কর্মকান্ডের সঙ্গে এভাবেই নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন মণিরাজ পতি, সুমন রানা, সৌরভ সরকার, শ্রীবাস পাত্র, মৃত্যুঞ্জয মণ্ডল, রানা পতিরা।
সেই ট্রাডিশন চলছে। নিজেদের সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী দুস্থ ও মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানো। সেই সঙ্গে এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকা। সম্প্রতি গান্ধী বিচার পরিষদে হয়ে গেল বস্ত্র বিতরণ। ৭০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল বস্ত্র। হাজির ছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, সমীরণ সেনগুপ্ত, ড. দেবব্রত দত্ত, সৌরভ বোস।

uttaran3
সংস্থার সম্পাদক রীতেশ মল্লিক জানান, ‘সারা বছরই আমরা কিছু না কিছু কাজ করতে চাই। ২০১৬-র মার্চ নাগাদ আমরা ৪১ জন ছাত্রকে এক হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দিতে চাই।’ উত্তরণ মেধাবৃত্তির পাশাপাশি বেশ কিছু শিশুকে লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্বও নিতে চাইছে এই সংস্থা। তাঁদের কথায়, আরও অনেককিছু করার ইচ্ছে আছে, কিন্তু এই মুহূর্তে সেই সামর্থ্য নেই। কিন্তু আমরা থেমে থাকছি না। আমাদের সদিচ্ছা আর পরিশ্রমের কোনও অভাব নেই। যতটুটু পারব, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। আমরা চাই, আরও অনেক মানুষ এই উদ্যোগে সামিল হোন। আমরা সবাই যদি একটু একটু করে চেষ্টা করি, সেই সার্বিক চেষ্টাটা অনেক বড় কিছু করার শক্তি জোগাবে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.