তোর্সা চ্যাটার্জি
একটি ছবির রেশ ধরে এসে যায় অন্য একটি ছবি। বলিউড বা টলিউড কোথাও ব্যাপারটা নতুন নয়। মূলধারার ছবিতে যেমন হয়, তেমনি সমান্তরাল ধারার ছবিতেও দিব্যি হয়।
সত্যজিৎ রায়ের শেষ ছবির কথা মনে পড়ে ? কী করে ভুলে যাবেন উৎপল দত্তর সেই দুরন্ত অভিনয় ? হ্যাঁ, আগন্তুকের কথাই বলছি। এবার পর্দায় অন্য চেহারায় আসছে আগন্তুক। ঠিক রিমেক নয়। আবার ঠিক সিকোয়েলও নয়। পেরিয়ে গেছে প্রায় পঁচিশটা বছর। সেই ২৫ বছর পর সেই চেনা চরিত্রগুলো কেমন আছে ? চারপাশের পৃথিবীটাই বা কতটা বদলেছে।
আগন্তুকে একটি কিশোরের চরিত্র ছিল। নাম সাত্যকী। সেই সাত্যকী এখন অনেকটাই বড়। ২৫ টা বছর তার জীবনেও অনেক বদল এনে দিয়েছে। সেই চরিত্রে যদি আবির চট্টোপাধ্যায় থাকেন ? তাঁর সঙ্গে যদি পায়েল সরকার আর ত্রিধাকেও দেখা যায়! হ্যাঁ, তেমনটাই হতে চলেছে।
নতুন পরিচালক অর্ক সিনহা। বেছে নিয়েছেন সত্যজিতের সেই অমর সৃষ্টিকে। ছবির নাম ঠিক করেই ফেলেছেন – আগন্তুকের পরে। ঠিক ২৫ বছর পরে। মমতা শঙ্কর আর দীপঙ্কর দে, যেমন ছিলেন, তেমনই থাকছেন। এমনকি থাকছেন উৎপল দত্তর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেওয়া ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ও। আসলে, আগন্তুক বললেই ওই মুখ গুলো মনে পড়ে। তাই চরিত্র বদলের রাস্তায় হাঁটেননি অর্ক। বাস্তবে যেমন তাঁদের বয়স বেড়েছে, ছবিতেও তাই। ফলে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না।
গত বছর মুক্তি পেয়েছিল অপুর পাঁচালি। অপু সিরিজের তিন ছবি ঘুরেফিরে এসেছে। এখানেও হয়ত আগন্তুকের তেমন কিছু দৃশ্য ঘুরেফিরে আসতে পারে। চিত্রনাট্য ও সঙ্গীতে সত্যজিৎ ঘরানার একটা ছাপ থাকতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত নয়। পরিচালক অর্ক ও প্রযোজক রানা সরকারের ইচ্ছে, সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়কে একবার চিত্রনাট্য শোনানো। তাঁর পরামর্শে কিছু অদল বদল হতে পারে। আগন্তুকের দৃশ্য ব্যবহার করতে গেলে তাঁর অনুমতি নেওয়াটাও জরুরি।