ধীমান সাহা
ক্রিকেটে একটা চালু কথা আছে। ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। সেটাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা। কটকে তাঁর ব্যাটে যেন বসন্ত ধরা দিল।
দীর্ঘদিন ধরেই রোহিতের ব্যাটে তেমন রান ছিল না। সমালোচনায় জর্জরিত হতে হয়েছিল। অনেক সমালোচনা হয়তো নাহ্য ছিল। তবু তিনি রোহিত শর্মা, ভারতীয় ক্রিকেটকে এতকিছু দিয়েছেন, আমরা বেমালুম সেটা ভুলে গিয়েছিলাম।
এটা ঘটনা, কারও যখন খারাপ ফর্ম থাকে, তখন একটা মানসিক চাপ তাঁকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরে। তখন কোনওকিছুই ঠিকঠাক হতে চায় না। ব্যাট করার সময় যে আত্মবিশ্বাস থাকার কথা, সেটা যেন সাজঘরে রেখে আসেন। মনে হয়, এই বুঝি আবার ব্যর্থ হয়ে গেলাম। এই বুঝি ক্যাচ উঠে গেল। এই বুঝি সমালোচকরা আবার দাঁত নখ বের করে আক্রমণ শুরু করল। এই বুঝি বাদ দেওয়ার দাবি উঠল।
এমন পরিস্থিতিতে নিজের স্বাভাবিক খেলা মেলে ধরা সত্যিই কঠিন। যেটা মারার বল, সেটা হয়তো ডিফেন্স করলে বসলেন। আবার যেটা ডিফেন্স করার বল, সেটায় চালিয়ে দিলেন। শট বাছাইয়ে গন্ডগোল হয়ে যায়। কারণ, সেই আত্মবিশ্বাসটা থাকে না। অথচ, একটা ম্যাচে রান পেলেই ছবিটা বদলে যায়। তখন আবার সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।
রোহিতও বারবার অল্প রানে ফিরে যাচ্ছিলেন। এটা মনের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠা একান্তই জরুরি ছিল। তাই কটকের শতরানটা নিছক একটা শতরান নয়। তার থেকে অনেক বেশি কিছু। দলের অধিনায়ক যদি আত্মবিশ্বাসী না থাকেন, তাহলে তার প্রভাব গোটা দলের ওপরই পড়ে। রোহিত রান পাওয়ায় অনেকটাই যেন স্বস্তি ফিরে এল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রোহিতকে আবার স্বমহিমায় দেখতে চাই।